.
তোমার সাহস কি করে হলো আমাকে ওভাবে ছেড়ে আসার?
।
মানে?
।
মানে এতো তারাতারি ভুলে গেলে সব?
কোথায় ছিলে আর এখন কোথায় আসছো ??
।
কি বলতে চাচ্ছো তুমি?
।
কিছু না,,,, আর কোন দিন এভাবে এ্যাভয়েট করবে না আমায়।
চলো নাস্তা করে অফিসে যাবে।
বলেই নিশি কিচেনের দিকে যেতে লাগলো।
।
আমি থ হয়ে বসে আছি,,,, আর ভাবছি…?
কি হচ্ছে এসব…?
রাগ দেখানোর কথা আমার
কিন্তু তা না
উল্টো নিশি রাগ দেখাচ্ছে কেন……?
।
নাস্তা করে অফিসের জন্য বেরিয়ে পরলাম। গাড়ি নিয়ে।
।
কিছু ক্ষন পর অফিস পৌছালেও
অফিসে কেন জানি মন বসছে না।
বার বার একটা কথা ভাসছে মনে
সেটা হলো নিশির ভা*র্জিনিটি।
সত্যিই কি নিশি ভা*র্জিন ছিলো না…..?
নাহ এসব সন্দেহের মাঝে আর থাকা যাবে না।
কিছু একটা হলেও করতে হবে।
আমাকে সত্যিটা জানতে হবে।
আমার হয়তো এ বিষয়ে ধারণা কম।
কিন্তু সবার তো না।
তাই ঠিক করলাম একজন ডক্টরের সাথে কথা বলবো।
।
অফিস শেষ করে তাই পরিচিত একজন ডক্টরের সাথে কথা বলার জন্য তার চেম্বারে গেলাম।
।
আমাকে দেখেই ডক্টর বলল,,,,
হ্যালো,,, কেমন আছেন?
।
জ্বী ভালো,,, আপনি…?
।
ভালো,,,,, আসুন বসুন,,,,, আর বলুন আপনাকে কি ভাবে সাহায্য করতে পারি……?
।
আসলে আমি……..?
(বসতে বসতে)
।
হুমমম কি….?
।
আসলে কি ভাবে যে বলি…….?
।
দেখুন এখানে সংকচ করলে কিছু জানতেম পারবেন না।
তাই সমস্যা ডিটেইলস খুলে বলুন।
সমাধান দেওয়া চেষ্টা করব।
।
আমি নতুন বিয়ে করেছি,,,,
নতুন ও না বাট
আচ্ছা ওসব বাট……………
আপনি বলুন তো প্রথম স*হবাসে যদি কোন মেয়ের *র*ক্তপাত না হয় তাহলে কি ভাবা যায় মেয়েটার ব্যাপারে?
মানে মেয়েটা ভা*র্জিন হবে কি নাহ?
।
আমার কথা শুনে ডক্টর এক গাল হেসে বললো
এই কথা…?
।
জ্বী
।
দেখুন
শুধু র*ক্তপাত দিয়ে কোন মেয়ের ভা*র্জিনি বিচার করা ঠিক না।
কারণ
অনেক কারনে তার ভা*র্জিনিটি পর্দা আগে চি*রে যেতে পারে।
।
অনেক কারণে……..?
।
হুমমমম,,, এই যেমন সাইকেলিং করলে, অতিরিক্ত দৌড় ঝাপ করলে,
ছোট বেলায় গাছে বেশি বেশি উঠলে।
আর সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন?
।
হুমমম কি….?
।
এমনো অনেক মেয়ে আছে যাদের প্র*থম স*হবাসে র*ক্তপাত হয়না।
দেখা যায় যে কয়েক দিন পর হুট করেই একদিন র*ক্তপাত হয়ে গেলো।
বা কোন দিন হলোই না।
তাই শুধু র*ক্তপাতের উপর নির্ভর করে তাকে সন্দেহ করাটা ঠিক না।
।
ডক্টর কে কি বলবো কিছু বুঝতে পারতেছি না।
তবে
একটা ধন্যবাদ দিয়ে ওনার রুমে থেকে বের হলাম।
।
এখন নিজেকে একটু হালকা হালকা লাগছে। চারদিক টা যে অনেক সুন্দর হয়ে গেলে মহুর্তেই।
মনে হচ্ছে মাথার উপর আকাশটা থেকে কাল মেঘ সরে গিয়ে সাদা মেঘ এসে জরো হলো।
।
তাই আর দেরি না করে সোজা বাসার দিকে রওনা হলাম।
।
বাসায় পৌছাতে পৌছাতে সন্ধা হলে গেলো।
।
বাসায় গিয়ে রুমের কলিং বেল বাজাতেই
নিশি দরজা খুলে দিলো
।
দজরা খুলে নিশিকে কিছু বলার আগেই নিশি আমাকে জরিয়ে ধরে বলল
সরি
আর এমন করবো না
কিন্তু তুমি লেট করে বাসায় ফিরবা না প্লিজ
।
ওর মুখে সরি শুনে থ বনে গেলাম
সরি তো বলবো আমি।
তাহলে ও কেন সরি বলছে?
সংশয় দুর করতে বললাম
তুমি কেন সরি বলছো?
।
আমার বুকে মুখ রেখে নিশি উত্তর দিলো
সকালে ওভাবে বলার জন্য।
আসলে তখন তোমার বিহেব দেখে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
।
ওর উত্তর শুনে বুঝতে পারলাম
ও কি বলতে চাচ্ছে।
কিন্তু আমি সেটা একদম মনে রাখি নি।
কারণ তখন মাথায় অন্য কিছু ছিলো।
।
আমি কিছু বলার আগে নিশি আমার টিশার্টের কলার ধরে চোখের সামনে অঙ্গুল ধরে বললো
।
আর কোন দিন আমাকে এড়িয়ে চলবা না। কারণ এটা আমি নিতে পারি না।
আমি শুধু তোমার ভালবাসা চাই।
আর তোমার কোন বিষয়ে টেনশন হলে
আমার সাথে সেয়ার করবে
দুই জনে মিলে সব সমাধান করবো ঠিক হে?
।
হুমমম ঠিক হে
।
আচ্ছা এবার ফ্রেশ হয়ে আসো খাবে।
।
আমাকে না ছাড়লে যাবো কিভাবে?
।
ওও হুমম এবার যাও
(আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে
খাবার টেবিলে খেতে বসলাম।
।
নিশি ভাত বেড়ে দিতে দিতে বলল
আচ্ছা সকালে কি এমন হয়েচিলো যে
ওরকম ব্যাবহার করলে….?
।
নিশির প্রশ্নে একটু থেমে গেলাম।
মনে মনে ভাবছি,,,
ওকে এসব বলবো??
বললে তো আবার ঝামেলাও হতে পারে।
নাহ থাক না বলি
আর এখন তো আমি বিষয়টা নিয়ে ক্লিয়ার।
।
কি হলো,,,,,
কি ভাবছো?
।
আরে তেমন কিছু না।
অফিসের কাজের চাপ তাই আর কি…?
।
ওওওও
নাও খাবারটা শেষ করে নাও।
।
খাওয়া দাওয়া সেরে দুজনেই শুয়ে পড়লাম।
।
রাতে গভিরে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি নিশি ঘুমাচ্ছে।
ওর দিকে তাকিয়ে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।
একটা মিথ্যা ভিত্তির উপর মেয়েটাকে সন্দেহ করেছিলাম আমি।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারি নি।
।
দুই মাস পর
।
ভালবাসায় পূর্ন আমাদের সংসার।
প্রতিদিনের মতো আজো অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি।
।
নিশি আমার টাই বেধে দিতে দিতে বললো,,,
আজ একটু তারাতারি আসবা..
।
কেন
।
কাজ আছে
।
কি কাজ
।
এখন বলা যাবে না
।
ওকে,,,,,
বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে অফিসের উদ্যেশে বেড়িয়ে পরলাম।
।
সারাদিন অফিস করে নিশির কথা মতো
একটু তারাতারি
বাসার ফিরছি।
এমন সময় গাড়ির সামনে পিয়াসকে দেখতে পেলাম।
।
পিয়াস হলো আমার ভার্সিটি ফ্রেন্ড,,,
।
তাই গাড়ি থাকিয়ে,,
পিয়াসকে ডাক দিলাম।
।
পিয়াস পিছনে ফিরেই আরে তুই,,,,,
বলে হা করে ফেললো আমাকে দেখে।
।
ঐ খানে হা করে থাকবি নাকি,, এদিকে আসবি…….?
।
এসব কি…?
কবে থেকে?
গাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে।
।
সে অনেক কথা
।
বল না
।
তারপর সব খুলে বললাম
নিশির ব্যাপারে
।
বাহ ভাই তুই দেখছি জ্যাকপট পেয়ে গেছিস।
।
হাহা
।
তো তোর বউকে দেখাবি না…..?
।
চল বাসায় চল দেখবি।
।
ওওহহ না রে বাসায় যেতে পারবো না,,আজ সময় কম,,, সামনে এজটা কাজ আছে,
পিক থাকলে তাই দেখা।
।
ওকে
বলে পকেট থেকে মোবাইল টা বের করে নিশির একটা ছবি বের করে বললাম।
এটাই নিশি আমার বউ।
।
পিয়াস মোবাইল টা হাতে নিয়ে পিকটা কিছুক্ষণ
ভাল করে দেখলো।
বার বার দেখলো জুম করে।
।
এসব দেখে আমি বললাম,,, আরে ভাই,,,
বউ আমার এভাবে দেখছিস কেন….?
ভাবি হয় তো,,
তোর
।
আচ্ছা এটাই কি তোর বউ…..
একটু অবাক হয়ে
?
।
হুম,,,, কেন?
।
সত্যি বলছিস,,, তুই এই মেয়েকে বিয়ে করেছি….?
।
আরে হুমমম রে ভাই
।
আচ্ছা বলতো মেয়েটার বাসা কোথায়….?
।
গুলসানে (সব ডিটেলে বলে)
কেন?
।
আচ্ছা তুই এই মেয়ের অতীত সম্পর্কে কি সব জেনেই বিয়ে করেছিস….?
।
অতীত…?
কথাটা শুনে থমকে গেলাম
