কাতার কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে ১ লাখ রিয়াল পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি হাফেজ
কাতারে অনুষ্ঠিত জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে ১ লাখ রিয়াল পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি হাফেজ উসামা ও আয়েশা।
কাতারে অনুষ্ঠিত শেখ জাসিম বিন মুহাম্মদ আলথানি জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় তিনটি শাখার মধ্যে বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত দুটি শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি দু’জন হাফেজ।
এরা হলেন ১৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি হাফেজ উসামা ও বাংলাদেশি তরুণী হাফজা আয়েশা। কাতারে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় বয়স কিংবা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা শাখা থাকে না। ফলে এই দু’শাখায় অংশ নিয়েছেন কাতারে বসবাসরত আরব ও অনারব বিভিন্ন দেশের নানা বয়সের হাফেজ নারী ও পুরুষরা।
এক শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী হাফেজ উসামার দেশের বাড়ি সিলেটের শাহপরান থানার খাদিমপাড়ায়। তার বাবা মাওলানা শিহাবুদ্দীন তিন বছর আগে কাতারে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কাতারে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অন্য শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশি তরুণী আয়েশার বাবার নাম উমর ফারুক। তাঁর বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে। তিনি বর্তমানে কাতারের আজিজিয়া এলাকায় একটি মসজিদে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুরস্কার হিসেবে তারা উভয়ে পেয়েছেন এক লাখ কাতার রিয়াল করে।
তাদের এই অনন্য সফলতার জন্য বাংলাদেশ সোস্যাল কমিউনিটি কাতারের পক্ষ থেকে উভয়কে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আরেকটি সংবাদ
১৯৭৭ সালে মাত্র ৫ বছর বয়সী কুলসুমকে এক সুইস দম্পতি দত্তক নেন। তারপর তার নাম হয়ে যায় ম্যারিও সিমো ভ্যামৌ। তাদের সঙ্গে বিদেশে পাড়ি জমান তিনি। অবশেষে ৪৫ বছর পর কুলসুম আপন আঙিনায়।
শুক্রবার সুইজারল্যান্ড থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর শেখেরটেকে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন কুলসুম। মা, ভাই, ভাতিজিদের কাছে ফিরে আবেগে আপ্লুত কুলসুম। সঙ্গে এসেছেন কুলসুমের স্বামী আন্দ্রে সিমন ভারমুট। এসময় মাকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কুলসুম। ক্ষণে ক্ষণে তিনি মাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেন।